এই Dazai Osamu ছিলো তার পেন নেইম, তার আসল নাম Shūji Tsushima। তিনি ৫ বার সুই!সাইড এটেম্পট করেন। History of Osamu Dazai - No Longer Human, Peak Fictio
Bungou Stray Dogs অ্যানিমে বা মাঙ্গা যেটার কথাই বলেন না কেনো আমার খুব পছন্দের একটা সিরিজ এটি। অ্যানিমেটির অন্যতম চরিত্র Dazai Osamu কে আমার প্রচন্ড ভালো লাগে। আমরা যারা এই অ্যানিমে এর ফ্যান্ডম এ আছি তারা সবাই কমবেশী জানি যে, এই সিরিজ এর প্রত্যেক টা ক্যারেক্টার রিয়েল পিপল এর উপর বেইজ করে তৈরি করা হয়েছে। এখানকার সব চরিত্র গুলো বাস্তবে ছিলো, এবং তারা যেমন তেমন মানুষ নয়। এসব ব্যক্তিরা ছিলেন গল্প অথবা কবিতা লেখক। অ্যানিমে টা মাঙ্গার উপর বেইজ করে তৈরি। আর মাঙ্গা টা লাইট নোভেল এর উপর বেইজ করে ক্রিয়েট করা হয়েছে।
মজার ব্যপার হলো, এই সিরিজ এর প্রত্যেকটি চরিত্রের যে সুপার ন্যাচারাল পাওয়ার আছে, সেইটাও এই লেখকদের বিখ্যাত বইয়ের সাথে মিল করে রাখা হয়েছে। যেমন জনপ্রিয় চরিত্র Dazai Osamu বাস্তব লেখক Dazai Osamu এর উপর ভিত্তি করে তৈরী, আর তার বেস্ট সেলিং বই No longer human বা Ningen Shikkaku হলো অ্যানিমেতে Dazai এর পাওয়ার।
যেহেতু Dazai Osamu চরিত্র টি বেশী পপুলার তাই আজকে এই চরিত্র নিয়েই কথা বলবো। সিরিজ টিতে দেখা যায় Dazai অনেক সুই"সালডাল থাকে। সে জীবনের কোনো অর্থ খুঁজে পায় না। জীবন মৃত্যু তার কাছে সমান। তার এক ইচ্ছা হলো সুন্দর এক রমনীর সাথে ডাবল্ সুই!সাইড করা। সেই সাথে দেখা যায় Dazai মেয়েদের সাথে অনেক ফ্লার্ট করে।
সতর্কতা
এই নিবন্ধে আত্ম:হ:ত্যা, বিষণ্নতা এবং আ:ত্ম-ক্ষতি সম্পর্কে আলোচনা রয়েছে। আপনার নিজের বিবেচনার ভিত্তিতে পড়ুন।
লিখেছেন : রুদাইবা আদনিনা
বাস্তব Dazai Osamu ও এমনি ছিলেন। এই Dazai Osamu ছিলো তার পেন নেইম, তার আসল নাম Shūji Tsushima। তিনি জীবনে বেঁচে থাকার কোনো মানে খুঁজে পাননি। তিনি বহুবার সুই!সাইড করার চেষ্টা করেন। তারও স্বপ্ন ছিলো কোনো এক রমনীর সাথে সুই!সাইড করার। অনেক জায়গায় বলা তিনি ৫ বার সুই!সাইড এটেম্পট করেন। কোনো জায়গায় বলা আছে ৪ বার। তার প্রথম সুই!সাইড এটেম্পট হয় ১৯২৯ সালে। এর কারণ হলো তিনি তখনকার ফেমাস লেখক Ryunosuke Akutagawa এর বিরাট ভক্ত ছিলেন। Ryunosuke Akutagawa ৩৫ বছর বয়সে সুই!সাইড করার ফলে Tsushima ডিপ্রেশনে চলে যান, যার ফলে তিনি অ্যালকোহল সহ অন্যান্য আপত্তিকর কাজে জড়িয়ে পড়েন। তিনি অত্যন্ত ম্যানিপুলেটিভ ছিলেন যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি তার ২য় সুই!সাইড এটেম্পটে এক রমনীকে নিয়ে যান। ডাবল সুইসাইডে সেই মহিলা টি মারা গেলেও তিনি বেচেঁ যান। এই মহিলা টি ছিলেন একজন বার হোস্টেস। সিরিজটিতেও দেখা যায় Dazai একজন ওয়েট্রেস এর সাথে প্রায় সময়ই ফ্লার্ট করে।
প্রথম সারির ডান থেকে ২য় হচ্ছে ওসামু দাজাই এবং তার পাশে স্ত্রী মিচিকো |
১৯৩৫ সালে তিনি ৩য় বারের মতো সুই!সাইডের চেষ্টা করেন, কিন্তু ব্যর্থ হন। পরবর্তী তে তার স্ত্রীর পরকীয়ার ফলস্বরূপ তারা দুজনেই ঘুমের ঔষধ খেয়ে আত্ম!হত্যার চেষ্টা করেন। এবারো ব্যর্থ হন তারা। তিনি তার স্ত্রী কে ডিভোর্স দিয়ে দ্বিতীয় বিবাহ করেন। Dazai Osamu বহু নারীতে আসক্ত ছিলেন। ঘরে স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও অন্য নারীর সাথে মেলামেশা করতেন। সম্ভ্রম পরিবার ও সুদর্শন হওয়ায় এতে তার আরোও ফায়দা হয়। তিনি তার স্ত্রী ও সন্তানদের রেখে নতুন এক রমনীর প্রেমে পড়ে তার সাথে পালিয়ে যান।
সোর্স: উইকিপিডিয়া |
তার সর্বশেষ সুই!সাইড এটেম্পট টি সাকসেসফুল হয় ১৩ জুন, ১৯৪৮ সালে, তার সেই প্রেমিকার সাথে। তারা দুজনেই নদীতে ঝাপ দিয়ে আত্ম!হত্যা করেন। আত্মহত্যার ছয়দিন পর তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
তার এই সুই!সাইড নিয়ে অনেক মত রয়েছে। ধারণা করা হয়, তার এই সুই!সাইড এটেম্পট এর সময় যেই ব্যক্তি সাক্ষী ছিলো তার মতে Tsushima এর প্রেমিকা তাকে ডাবল্ সুইসাইড এর প্রস্তাব দেয়, আর তিনি সম্মতি জানান, কিন্তু নদীতে ঝাপ দেয়ার ঠিক পূর্বে হয়তো খুব অল্প সময়ের জন্য হলেও তার মনে বাঁচার ইচ্ছে জাগে। অ্যানিমে টিতে দেখা যায় Dazai Osamu ব্যন্ডেজ পরে থাকে। ব্যাপারটা অদ্ভুত হলেও ক্রিয়েটর বাস্তব Dazai Osamu এর ট্রিবিউট স্বরূপ এমন ক্যারেক্টার ডিজাইন করেন।
আমি দাজাই অসামু এর জীবন কাহিনী তুলে ধরিনি। কেবল সিরিজের সাথে মিলে যায় এমন বিষয়গুলো সংক্ষেপে বলার চেষ্টা করেছি। Shūji Tsushima এর বায়োগ্রাফি আরো গভীর। দাজাই অসামু এর সর্বশেষ ও পপুলার নোভেল No Longer Human একটি auto-biographical নোভেল। তিনি নিজের চিন্তা ভাবনা এই কাহিনীর কেন্দ্রীয় চরিত্রে তুলে ধরেছেন। আজ এই বিখ্যাত লেখকের, এমনকি অ্যানিমে চরিত্রটিরও জন্মদিন। এবং কাকতালীয় ব্যাপার হলো, তার মৃত দেহও এইদিনেই উদ্ধার করা হয়।
বাস্তবে দাজাই অসামু তার সাহিত্যিক অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন তৎকালীন লেখক Ryunosuke Akutagawa ও Fyodor Dostoyevsky এর থেকে।
ওসামু দাজাই কিসে আসক্ত ছিলেন?
দাজাই যার ব্যক্তিগত জীবন, সামাজিক অসুবিধা এবং ব্যথানাশক ওষুধের প্রতি আসক্তি ছিল। তিনি আজও অনেক পাঠকের কাছে প্রিয় হয়ে আছেন। তবে তাকে একজন হতাশাবাদী এবং অবক্ষয়কারী ব্যক্তি হিসাবে স্মরণ করা হয়।
ওসামু দাজাই এর শেষ বই কি?
আধা-আত্মজীবনীমূলক, নো লঙ্গার হিউম্যান হল জাপানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লেখক ওসামু দাজাই এর চূড়ান্ত কাজ।
কেন ওসামু দাজাই নোলঙ্গার হিউম্যান লেখেন?
ওসামু দাজাই নো লঙ্গার হিউম্যান লিখেছেন কারণ তিনি তার দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষের অবক্ষয় দেখাতে চেয়েছিলেন । এর প্রকাশের অল্প সময়ের মধ্যেই, অনেক পাঠক এবং সমালোচক এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে এই উপন্যাসটি লেখকের জীবনে সেই সময় পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সমস্ত কিছুর আত্মজীবনী ছাড়া আর কিছুই নয়।
ওসামু dazai এর প্রথম নাম কি?
তার ব্যক্তিগত নাম ওসামু । তার পরিবার বা বংশের নাম দাজাই। জাপানি, সেইসাথে অন্যান্য অনেক এশিয়ান সংস্কৃতিতে, গোষ্ঠী (যেমন, পরিবার, গোষ্ঠী) ব্যক্তির আগে আসে, তাই পরিবার/গোষ্ঠীর নামটি প্রথম অবস্থানে থাকে, ব্যক্তির ব্যক্তিগত নাম অনুসরণ করে।