Origin of Anime. How anime was created second part.
অ্যানিমে বা আনিমে বা এনিমে সৃষ্টির ইতিহাস। কিভাবে তৈরি শুরু হয় জাপানিজ এনিমে এর? Peak Fiction
Welcome to Peak Fiction. A place where we talk about Pop Culture and Blogging.
এনিমের ইতিহাস - দ্বিতীয় পর্ব
গত পোস্টে আমরা এনিমে সৃষ্টির
প্রথম পর্ব পড়েছি। আজকের এই পোস্ট এ আমরা আরো বিস্তারিত এবং পরবর্তী সময় সম্পর্কে জানব।
ম্যাজিক ল্যান্টার্ন চালিত
উৎসুশি এ আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তা হারালেও, এনিমেশন তৈরির ঝোঁক জাপানি শিল্পীদের ভেতর থেকে যায়নি কখনোই। আর বর্তমান এনিমের যে ধারাটি, তা কীভাবে শুরু হয়েছিল, কার মাথায় প্রথমের মুকুট উঠবে তা নিয়ে একটু দ্বিধা আছে। তবে ধারণা করা হয়, শুরুটা হয়েছিল, "
কাৎসুদো সাশিন" এর হাত ধরে।
|
কাৎসুদো সাশিন |
১৯০৭ সালে ম্যাজিক ল্যান্টার্নের যন্ত্রাংশের সাহায্যে মাত্র তিন সেকেন্ডের এই এনিমেশন তৈরি করা হয়। লাল সাদা আর কালো এই এনিমেশনটিতে দেখা যায়, একটি নাবিক ছেলে একটি বোর্ডে কিছু একটা লিখে। তারপর মাথার টুপি খুলে bow করে। তিন সেকেন্ডব্যাপী ঐ এনিমেশনটি gif এর মত রিপিটেবল ছিল। পঞ্চাশটি সেলুলয়েড স্ট্রিপের সাহায্যে তৈরি। ২০০৫ সালে এই এনিমেশনটা খুঁজে পাওয়া যায়। নাৎসুকি মাৎসুমোতোর মতে, এটাই প্রথম জাপানিজ এনিমেশন।
১৯০৭ থেকে ১৯১৭ এর মধ্যে আর কোনো এনিমেশন তৈরি হয়েছিল কীনা, তা নিয়ে এখনো সন্দেহ আছে। ইয়োশিজাওয়া শোতেন কোম্পানির কাছে "ফুশিগো নো বরুদো"(miracle board) বলে একটা মুভি পাওয়া যায়, ১৯১০ সালে। কিন্তু সেটা এনিমেশন ছিল কিনা, জানা নেই। এছাড়া নিপ্পারু নো হেনকেই বলে একটা মুভি টোকিওতে ১৯১১ সালে প্রদর্শন করা হয়। কিন্তু ওটা এনিমেশন চলচ্চিত্র কিনা, তা নিশ্চিত না।
|
les exploits de feu follet |
পশ্চিমাদের হাত ধরে জাপানে সর্বপ্রথম স্বীকৃত এনিমেশন চলচ্চিত্র দেখানো হয়। সেই দিনটি হচ্ছে, ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল, এমিল কোহলের
les exploits de feu follet. এটাই ছিল জাপানী সিনেমা জগতের
প্রথম সর্বস্বীকৃত এনিমেটেড মুভি। ১৯১৪ সালে আমেরিকা আর ইউরোপের কার্টুন জাপানে পদার্পন করে। জাপানি শিল্পীরা সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হন। যার ফলশ্রুতিতে জুনিচি কিওয়িচি আর সেন্তারো কিতায়ামার মতো প্রতিভাবান শিল্পীদের হাত ধরে শুরু হয়, "
এনিমে"।
প্রথম দিককার এনিমেশনগুলো সেভাবে সংরক্ষিত হয় নি। যে স্ট্রিপ দিয়ে বানানো হতো, ওগুলো পরে সিনেমা হলের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হতো। প্রথম জাপানি অরিজিনের এনিমেশন চলচ্চিত্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়, ১৯১৭ সালে জুনিচি কোউইচির তৈরি "নামাকুরা গানাতা"কে। আবার এখানেও একটু বিতর্ক আছে। অনেকের মতে, "নামাকুরা গানাতা" (ভোঁতা তরবারি) না, বরং
"ডেকোবো শিনগাচো:মেইয়ান ন শিপ্পাই"(the picture book: failure of a great plan") হচ্ছে প্রথম জাপানি এনিমেশন চলচ্চিত্র।
|
Ōten Shimokawa, Jun'ichi Kōuchi and Seitarō Kitayama |
ওতেন শিমোকাওয়া, জুনচি কিওইচি, আর সেইতারো কিতায়ামা- এই তিন হলেন এনিমের আদি উদ্ভাবক। রাজনৈতিক কেরিকেচার আর্টিস্ট ওতেনের কেরিয়ার খুব ছোট। তবে তিনি মোট পাঁচটি এনিমেশন মুভি তৈরি করেছেন। "ইমোকাওয়া মুকুজো গেনকাবান নো মাকি", এই এনিমেশন মুভিটি একসময় ভাবা হতো জাপানের প্রথম এনিমেশন মুভি।
কোঈচি আর সেইতারো এনিমে ইন্ডাস্ট্রিকে অনেক দূর টেনে নিয়ে গেছেন। কোঈচি, একাধারে কেরিকেচার শিল্পী, আঁকিয়ে এবং জলছবির উপর শিক্ষাপ্রাপ্ত, ১৯১২ সাল থেকেই কার্টুন চলচ্চিত্রের উপর কাজ করা শুরু করেন। ১৯১৬ সালে কোবায়াশি শোকাই কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হন। জাপানিজ এনিমেশনের প্রভাতকালে সবচেয়ে টেকনিক্যালি দক্ষ এই এনিমেটর মোট পনেরটি মুভি নির্মাণ করেন। সেইতারো কিতায়ামা, আপনা পথে চলেছেন এনিমেশন মুভি তৈরির ক্ষেত্রে। চকবোর্ডে আকার পাশাপাশি রপ্ত করেছিলেন, পেপারে আঁকার পদ্ধতি। নিজের এনিমেশন স্টুডিও দিয়েছিলেন। অর্থাভাবে চালাতে পারেন নি। ১৯২৩ সালের ভুমিকম্পে তার সব কীর্তি হারিয়ে যায়। ২০০৭ সালে একটি দুস্প্রাপ্য পণ্যের মার্কেটে "উরাশিমা তারো" (সেইতারো) আর নামাকুরা গানাতা" খুঁজে পাওয়া গেছিল।
লিখা - জুনায়েদ মাশরাফি
- Peak Fiction